Sunday, August 17, 2025

বিএনপির জনসমর্থন ১৬ শতাংশ, জামায়াতের ৩১ শতাংশ—কতটা বিশ্বাসযোগ্য




নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা ধরনের জরিপের ফলাফল আমাদের সামনে আসছে। কমবেশি সব দেশেই নির্বাচনের আগে নানা ধরনের জরিপ পরিচালনা করে কিছু আগাম ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠন নিজস্ব উদ্যোগে জরিপ করে নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি অনুধাবনের চেষ্টা করে। বোদ্ধারা এসব জরিপের ফলাফলের সঙ্গে নিজস্ব ধারণার সংশ্লেষ ঘটিয়ে রাজনীতিকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেন।


অনেক সময় এসব জরিপের ফলাফল বাস্তবের সঙ্গে মেলে, আবার অনেক সময় মেলে না। জরিপের ফলাফলকে নাকচ করে দিয়ে নির্বাচনে উল্টো ফল বেরিয়ে আসে কখনো কখনো। ভোটের হিসাব–নিকাশ আদৌ কোনো সহজ কাজ নয়। তাই জরিপের ফলাফলও অনেক সময় ভুল প্রমাণিত হয়।


উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জরিপ পরিচালনা করলে নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে তা না মেলার আশঙ্কাই বেশি থাকে। তারপরও অনেক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল নিজস্ব স্বার্থ নিশ্চিত করতে এ ধরনের জরিপ পরিচালনা করে।গবেষণা প্রক্রিয়ার (রিসার্চ মেথডলজি) ভাষায় এই ধরনের জরিপকে বলা হয় বায়াসড বা পার্পাসিভ সার্ভে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যা আশা করেন বা যে ধরনের ফলাফল দেখতে চান, সেদিকে লক্ষ রেখে জরিপের নকশা তৈরি করা হয়। জরিপে মাঠের প্রকৃত চিত্র যেমন তুলে আনা সম্ভব। আবার নিজস্ব পছন্দ অনুসারে ফলাফলও তৈরি করা যায়। এটা নির্ভর করে গবেষণা জরিপের তথ্য–উপাত্ত ও নমুনা সংগ্রহের কাঠামো নির্ধারণের ওপর।


ধরা যাক, জার্মানির বন শহরে ধূমপানের প্রবণতা নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করা হবে। এখন বন শহরের কেন্দ্রীয় বাস ও রেলস্টেশন, পানশালার আশপাশে বা ভেতরে জরিপ পরিচালনা করলে ধূমপানের পক্ষে ফলাফল পাওয়া যাবে।


আবার বন শহরের বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন, বন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করলে ধূমপান সম্পর্কে নেতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে। বন শহরের পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর জরিপ পরিচালনা করলে হয়তো প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। কিন্তু এটা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। এত লম্বা সময় ধরে জরিপ সাধারণত নির্বাচন বা জনমত জরিপের গবেষণায় করা হয় না।

সম্প্রতি দেশে নির্বাচনকে ঘিরে এ ধরনের কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণার ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। আগেই বলে রাখা ভালো এই জরিপগুলোকে ভুল বা ত্রুটিপূর্ণ প্রমাণ করা কঠিন। গবেষণা পরিকল্পনা, নমুনার আকার ও সংগ্রহ করার পদ্ধতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসরণ করেই জরিপ করা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল এসেছে কোনো সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর পক্ষে।


যেমন শেখ হাসিনার শেষ দিকে বিভিন্ন জরিপের ফলাফল উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তিনি আবার ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের নির্বাচনে ৫ শতাংশ মানুষও ভোট প্রদান করেননি। এমনকি আওয়ামী লীগের সমর্থকেরাও ভোটকেন্দ্রে যাননি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ওই জরিপগুলো ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


ঠিক একই রকম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জরিপের এখন ছড়াছড়ি চলছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গত বছরের অক্টোবরে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেল, ওই সময় ভোট হলে মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ বিএনপি সমর্থন করবেন। ৩৮ শতাংশ মানুষ কোনো দলকেই সমর্থন করছেন না। কিন্তু ওই সময় বিএনপির প্রতি জনসমর্থন ছিল তুঙ্গে।

শেখ হাসিনা সবে পালিয়ে গেছেন। তখনো বিএনপির লোকজন নানা ক্ষেত্রে ঝাঁকিয়ে বসতে পারেননি। এবার জুলাই মাসে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির প্রতি জনসমর্থন কমে গেছে। মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করে। আর ৪৯ শতাংশ মানুষ কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নিতে পারেনি।


গত বছর অক্টোবরের জরিপটি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি। কারণ, তখন কেবলই আওয়ামী লীগ পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু বিআইজিডির দুটি জরিপ নিয়েই খটকা আছে। বিএনপির তৃণমূলের নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ বিরক্ত হচ্ছে। এ বিষয় কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু কোনোভাবেই বিএনপির সমর্থন ১২ শতাংশ হতে পারে না।


বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সব থেকে কম আসন পেয়েছিল। সেবারও বিএনপির ভোট ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। এখন সেটা বাড়ার কথা। না বাড়লেও ভয়ংকরভাবে কমার কথা নয়। চাঁদাবাজি ও দখলের কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে—এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আমাদের রাজনীতির অর্থনীতি স্থানীয় পর্যায়ে চাঁদাবাজি ও দখলের সঙ্গে জড়িত। দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি এই অনিয়মের ওপর নির্ভরশীল। এর বিশাল এক সুবিধাভোগী শ্রেণি আছে সমাজে। যদিও এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

এই ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের। কিন্তু এর কারণে জনপ্রিয়তায় ভয়াবহ ধস নামার কথা নয়। আমাদের রাজনীতিতে দলের প্রতি অন্ধবিশ্বাসের একটি বিষয় আছে।


আবার আরেকটা জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন করে। এটা কি কোনো বিশ্বাসযোগ্য জরিপের ফলাফল হতে পারে?


৮ মার্চ ২০২৫ এ জরিপটি প্রকাশিত হয়। ইনোভিশন কনসাল্টিং পরিচালিত এই জরিপের কাজের প্রচারণা ও নীতি বিষয়ক কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) এবং ভয়েস ফর রিফর্ম নামের এক্টিভিস্টদের একটি সংগঠন। (৯ মার্চ, নেত্র নিউজ)।


আওয়ামী লীগ দেশ থেকে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিবাদ ও গণহত্যার দায় মাথায় নিয়ে। বিভিন্ন স্থানে দখল, চাঁদাবাজির কারণে বিএনপিরও জনপ্রিয়তা কমে গেছে। তাই বলে জামায়াতের প্রতি সমর্থন ৩১ শতাংশ মানুষের! এটা বাস্তব সম্মত নয়।


জামায়াত একটি ক্যাডারভিত্তিক রাজনৈতিক দল। তাদের নিজস্ব নিয়মকানুন আছে। তারা সমাজের ভেতর আরেকটি সমাজ গঠন করেছে। এই দলের একজন কর্মীর জীবন জামায়াতের চক্রের মধ্যেই থেকে যায় আজীবন। এই ধরনের দলের হুট করে জনসমর্থন কমেও না, বাড়েও না।

আমার ধারণা, ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ জনসমর্থনের বিষয়টি জামায়াত নিজেও বিশ্বাস করে না। ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জনসমর্থন থাকলেই জামায়াত সংসদে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে চলে যাবে এবং কোনো প্রশ্ন ছাড়াই জামায়াত নির্বাচনে যেতে রাজি হবে বলে আমার বিশ্বাস।


বিএনপি ও জামায়াতের জনসমর্থনের হিসাব নিয়ে ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের জরিপের সঙ্গে বিআইজিডির জরিপের ফলাফল মিলে না। আকাশ-পাতাল তফাত।


বিআইডিজির প্রথম জরিপে জামায়াতের প্রতি সমর্থন ছিল ১১ শতাংশ, এবার হয়েছে ১০ শতাংশ। দুই জরিপের পার্থক্য হচ্ছে যথাক্রমে ২০ ও ২১ শতাংশ। ইনোভিশন কনসাল্টিংয়ের জরিপ অনুসারে বিএনপির প্রতি জনসমর্থন ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার বিআইজিডির জরিপে গত বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ মানুষ বিএনপির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।


এদিকে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) আরেক জরিপে বলা হয়েছে, দেশে ৭১ শতাংশ মানুষ সংসদের উচ্চকক্ষের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে (পিআর) আসন বণ্টনকে সমর্থন করেন। এই ফলাফলও অবিশ্বাস্য ঠেকছে। কারণ, দেশে এখনো উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষ হতে পারে। এর মধ্যে বড় দল বিএনপি উচ্চকক্ষ পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে। তাহলে এই ৭১ শতাংশ মানুষ কোত্থেকে আসল। এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

সুজনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ঐকমত্য কমিশনের সদস্য। এই কমিশন নিজেরাই পিআর পদ্ধতির পক্ষে। শুধু পিআর পদ্ধতি নয়, ঐকমত্য কমিশনের প্রায় সব কটি প্রস্তাবের সঙ্গেই জরিপের উত্তরদাতারা কমবেশি একমত পোষণ করেছেন। আর এসব প্রস্তাবে সমর্থন দিচ্ছে মূলত নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এই জরিপের পক্ষে বক্তব্যও দিয়েছেন।


দেখা যাচ্ছে, এসব জরিপের সঙ্গে এনসিপি ও জামায়াতের বক্তব্য হুবহু মিলে যাচ্ছে। জানাপা ও জামায়াত যা দাবি করে বা বলতে চায়, তাই জরিপের ফলাফলে বেরিয়ে আসে।


গবেষণা প্রক্রিয়া অনুসারে উপরিউক্ত জরিপগুলো সম্ভবত ভুল বলা যাবে না। কারণ, তাদের গবেষণার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলাপ এখানে করা হয়নি। প্রতিটি জরিপ থেকে একটি নমুনা ফলাফল নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে এই জরিপগুলো হয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে। একটি সুনির্দিষ্ট গোষ্ঠীর থেকে উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অথবা গবেষণায় পদ্ধতিগত কোনো ভুল বা ত্রুটি ছিল, যা গবেষকদের নজরে আসেনি।

এই ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণা দেখে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে দেশের গণমাধ্যমগুলোর জরিপের কথা মনে পড়ে গেল। ওই সময় সব কটি পত্রিকার জরিপে বলা হয়েছিল, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। বিভিন্ন পত্রিকা আওয়ামী লীগ ১৭০ থেকে ২২০টি পর্যন্ত আসনে বিজয়ী হবে বলে জরিপে উল্লেখ করেছিল। সম্ভবত প্রথম আলোর জরিপে বলা হয়েছিল বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারে।


পরবর্তী সময় নির্বাচনে দেখা গেল আওয়ামী লীগ ৫৭টি আসন পেয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের কথাও আমাদের মনে আছে। ওই নির্বাচনের আগে অনেক জরিপেই হিলারি এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।


প্রশ্ন হচ্ছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গবেষণা জরিপ কেন করা হয়। এর একটি কারণ হচ্ছে জনমতকে প্রভাবিত করা। বিভিন্ন কারণে বিএনপির প্রতি জনসমর্থন কমে গেছে, এটা ভোটারদের মনে ঢুকিয়ে দিতে পারলে সমাজের একটি অংশকে প্রভাবিত করা যাবে। আরেকটি কারণ হতে পারে, জনসমর্থন কমে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে বিএনপির কাছ কিছু আদায় করে নেওয়া।


আমরা জানি না সঠিক কী কী কারণে এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে কিছুটা আঁচ করতে পারি, এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জরিপের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে। এই ধরনের জরিপ জনগণের মধ্যে পরিষ্কারভাবে বিভ্রান্ত তৈরি করবে।


ভোটের মাঠে এসব জরিপ বিএনপির জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। নানাভাবে বিএনপিকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চলছে। এসব জরিপ কোণঠাসা করার সেসব পরিকল্পনারই অংশ হতে পারে। সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে জোর প্রচারণা চলছে বিএনপি একাই সব দখল করে নিচ্ছে। আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জরিপগুলো বলছে এসব কারণে বিএনপির জনপ্রিয়তা কমছে।


ড. মারুফ মল্লিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক


Saturday, August 16, 2025

সেপ্টিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যেয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু।



সেপ্টিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যেয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু। 

ঢাকায় বসুন্ধরায় সেপটিক ট্যাংকের কাজ করতে তিনজন তরতাজা যুবকের মৃত্যু হয়েছে ।

 লিটন হোসেন লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মিয়াজি পাড়া এলাকার মৃত তবিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আরো দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

 অন্য দুই যুবকের বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার আলাউদ্দিন নগর এলাকায়।

আজ শনিবার সেপটিক ট্যাংকের কাজ করতে গিয়ে ঢাকায় এই তিন যুবকের মৃত্যু হয়। 

তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মহান আল্লাহ পরিবারের সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুক আমিন।

আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ: মামুনুল হক

আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ: মামুনুল হক


বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, বাংলার মানুষ ইসলামী দলকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। জীবন ও রক্ত দিয়ে গণঅভ্যুত্থান অর্জিত হয়েছে শুধু ক্ষমতার পালাবদলের জন্য নয়। জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে ফ্যাসিস্টদের আক্রমণে শহীদদের কোনো সম্মাননা প্রদান করা হয়নি বলে আমরা নিন্দা জানাই।


বীর শহীদদের সাথে বর্তমান সরকার বেইমানী করেছে।  

শনিবার (১৬ আগষ্ট) বিকালে বাঞ্ছারামপুর বড় বাজার (সরকারি কলেজ সংলগ্ন) মাঠে খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পশ্চিম কর্তৃক আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এসময় তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের পূর্বে সংস্কার ফ্যাসিবাদদের বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। শাপলা চত্বর, জুলাই-আগষ্টে নিহত শহীদদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার করতে হবে।


দেশ থেকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদরা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাদের দোসররা এখনও বিভিন্ন ক্ষমতায় বসে আছে।  

বিএনপি, জামায়েত এবং এনসিপিসহ সকল সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান রেখে বলেন, আমাদের মাঝে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকতে পারে।

কিন্তু আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও জাতীয় পার্টিসহ সকল ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেই লক্ষ্যে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।  

বাঞ্ছারামপুর খেলাফত মজলিস সভাপতি মুফতি আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম-মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি হা. মাও. আব্দুল আজিজ খন্দকার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার, নরসিংদী জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ বাঞ্ছারামপুর জামায়েত মনোনিত প্রার্থী প্রফেসর দেওয়ান মো. নকিবুল হুদা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সারোয়ার হাসান আলমগীর প্রমুখ।

Wednesday, August 13, 2025

Nokia NX 5G – 12GB RAM, 512GB Storage & 200W Ultra-Fast Charging, 200MP Camera, Just 12,490!

Nokia NX 5G – 12GB RAM, 512GB Storage & 200W Ultra-Fast Charging, 200MP Camera, Just 12,490!

Here’s the deal: that specification—“Nokia NX 5G – 12GB RAM, 512 GB Storage & 200 W Ultra-Fast Charging, 200 MP Camera, Just 12,490!”—appears to be entirely unverified and trending today without credible backing. The only source we found reporting exactly that phrase is a site called NMPS Patna—but it’s the only one, with no corroboration from other trusted outlets. It screams promotional fluff with no official announcements to support it.

Let’s break it down clearly:


What Existing Reports Actually Say

  • A yesterday-published review (BrightSchoolHouse) mentions the Nokia NX 5G with specs like a 108 MP camera, 6,500 mAh battery, 100 W fast charging, and AMOLED display, priced around ₹12,499—but this differs widely from the 200 MP / 200 W / 12 GB RAM scenario.

  • Other sources vary significantly:

    • AspireServiceIndia reports a 108 MP camera, 7,500 mAh battery, and 100 W fast charging.
    • NewMobilesReview (dated June 2024) speculates on a future model with just 50 MP camera, 8 GB RAM, 8,050 mAh battery, and 120 W charging, priced around ₹24,999 (~$300).
    • A deeper, analytics-heavy article (CCA2024.in) emphasizes a 50 MP main camera, 8 GB RAM, 8,050 mAh battery, and 120 W charging—and frames the device as a legacy-caretaker in Nokia’s smartphone history.

None of these sources match the claim of 12 GB RAM, 512 GB storage, 200 W charging, 200 MP camera at the purported price of ₹12,490.


What We Recommend

  • Treat that claim as dubious—likely clickbait or misreporting.
  • If you're tracking Nokia’s upcoming releases, monitor credible technology news outlets or Nokia’s official communications.
  • If you're interested in real confirmed specs for the current Nokia NX 5G model, I can help you compare the 108 MP vs 50 MP variants, battery sizes, charging speeds, and actual market pricing.

Summary Table

Claimed Specs (today’s promotion) Verified/Mentioned Specs from Other Sources
12 GB RAM, 512 GB storage 6 GB / 8 GB RAM; 128 GB / 256 GB storage
200 W charging 100 W or 120 W fast charging reported
200 MP camera 108 MP or 50 MP cameras
Priced at ₹12,490 ~₹12,499 for 108 MP version; ~₹24,999 speculated for 120 W model

Would you like me to dig further into the variants confirmed (e.g., 108 MP vs 50 MP models), check availability in Bangladesh, or compare against other mid-range 5G phones in your market?


Thursday, August 7, 2025

তিস্তা

 তিস্তা

তিস্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী, যা ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। এটি ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও জনজীবনের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিচে তিস্তা নদী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:


🏞 উৎপত্তি ও প্রবাহপথ

  • উৎপত্তি স্থান: হিমালয়ের গ্যাংটক (সিকিম, ভারত) অঞ্চলের পাহাড়ি হিমবাহ (Tso Lhamo Lake) থেকে।
  • দৈর্ঘ্য: প্রায় ৪১৫ কিলোমিটার।
  • বাংলাদেশ অংশে দৈর্ঘ্য: প্রায় ১২১ কিলোমিটার।
  • প্রবাহপথ: সিকিম → পশ্চিমবঙ্গ (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি) → বাংলাদেশ (লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর) → ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত।

🌍 ভৌগোলিক গুরুত্ব

  • বাংলাদেশে প্রবেশ করে: লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের নিকট দিয়ে।
  • ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়: কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায়।
  • অঞ্চল: রংপুর বিভাগ।

🌾 অর্থনৈতিক ও কৃষিভিত্তিক গুরুত্ব

  • সেচ: উত্তরাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের জন্য তিস্তার পানি ব্যবহার করা হয়।
  • বন্যা: বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে তিস্তা পাড়ের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
  • জল সংকট: শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় কৃষিতে ক্ষতি হয়, যা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি বণ্টনের বিরোধ সৃষ্টি করে।

💧 পানি বণ্টন ও তিস্তা চুক্তি

  • তিস্তা পানি চুক্তি: এখনো স্থায়ী কোনো চুক্তি হয়নি। ১৯৮৩ সালে একটি অস্থায়ী চুক্তি হয়, এবং ২০১১ সালে একটি চুক্তির খসড়া প্রস্তুত হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি।
  • ভারতের বাঁধ নির্মাণ: ভারতের গজলডোবা বাঁধ থেকে পানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়, ফলে বাংলাদেশের অংশে পানির ঘাটতি দেখা দেয়।

🌿 পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

  • নদীর উপর নির্ভরশীল জীববৈচিত্র্য: মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদ, কৃষিজ ফসল প্রভৃতি তিস্তা নদীর পানির উপর নির্ভরশীল।
  • বালু উত্তোলন: অতিরিক্ত বালু উত্তোলন ও ভাঙনের কারণে নদীর স্বাভাবিক গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
  • ভাঙন: প্রতিবছর নদী ভাঙনে বহু মানুষ ঘরবাড়ি হারায়। বিশেষ করে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী জেলাগুলোতে এর প্রভাব বেশি।

🏘 নদী পাড়ের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা

জেলা উপজেলা উল্লেখযোগ্য স্থান
লালমনিরহাট হাতীবান্ধা, আদিতমারী সানিয়াজান, গড্ডিমারী
নীলফামারী ডিমলা, জলঢাকা খগাখগি, তিস্তা ব্যারেজ
কুড়িগ্রাম চিলমারী, রাজারহাট নদীবাঁধ এলাকা

🏗️ তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প

  • অবস্থান: নীলফামারীর ডালিয়া এলাকায়।
  • উদ্দেশ্য: সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং পানি সংরক্ষণ।
  • ব্যবহার: প্রায় ৭ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা।
  • চ্যালেঞ্জ: পানির ঘাটতি ও রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণে কার্যকারিতা কমে গেছে।

⚖️ ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট

  • তিস্তা বাংলাদেশের জন্য প্রাণরেখা, কিন্তু ভারতীয় দিক থেকে পানির নিয়ন্ত্রণে থাকায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

📌 সংক্ষেপে তিস্তা নদীর প্রভাব

  • ✅ কৃষি নির্ভরতা
  • ✅ বন্যা ও ভাঙন সমস্যা
  • ✅ পানির রাজনৈতিক সংকট
  • ✅ পরিবেশগত অবনতি
  • ✅ উন্নয়নের সম্ভাবনা (যদি পানি বণ্টন ন্যায্য হয়)

নিচে তিস্তা নদী নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট বা প্রজেক্ট পেপার তৈরি করে দিচ্ছি, যা শিক্ষার্থীদের জন্য উপযোগী এবং গবেষণাধর্মী কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।


📘 প্রকল্পের নাম:

"তিস্তা নদী: ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব বিশ্লেষণ"


🔖 ভূমিকা

তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এটি শুধু প্রাকৃতিক জলধারা নয়, বরং একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটেরও উৎস। এই প্রকল্পে তিস্তার উৎপত্তি, প্রবাহ, ভূ-রাজনীতি, পানি বণ্টন সমস্যা এবং পরিবেশগত গুরুত্ব নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।


🗺️ তিস্তা নদীর পরিচিতি

  • উৎপত্তি স্থান: হিমালয়ের সিকিম অঞ্চলের তিস্তা হিমবাহ (Tso Lhamo Lake)
  • মোট দৈর্ঘ্য: ৪১৫ কিলোমিটার (বাংলাদেশে ১২১ কিমি)
  • বাংলাদেশে প্রবেশ: লালমনিরহাট জেলার সানিয়াজান এলাকা দিয়ে
  • মিলনস্থল: কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে

📍 প্রবাহপথ

দেশ রাজ্য/বিভাগ উল্লেখযোগ্য স্থান
ভারত সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি
বাংলাদেশ রংপুর বিভাগ হাতীবান্ধা, ডিমলা, চিলমারী

🌾 অর্থনৈতিক গুরুত্ব

  • সেচ: রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট অঞ্চলের কৃষি তিস্তার পানির উপর নির্ভরশীল।
  • জীবিকা: মাছ ধরা, কৃষিকাজ, নৌপথে পণ্য পরিবহন
  • বিদ্যুৎ: তিস্তা ব্যারাজ ও ভবিষ্যৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প

💧 তিস্তা পানি চুক্তি ও সংকট

  • ১৯৮৩ সালের অস্থায়ী চুক্তি: বাংলাদেশ ৩৬% ও ভারত ৩৯% পানি পাবে বলে বলা হয়।
  • ২০১১ সালের খসড়া চুক্তি: এখনও স্বাক্ষরিত হয়নি।
  • ভারতের গজলডোবা ব্যারাজ: বাংলাদেশের পানির প্রবাহকে প্রভাবিত করে।

🏗️ তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প (ডালিয়া)

  • অবস্থান: নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায়
  • উদ্দেশ্য: সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জল সংরক্ষণ
  • সুবিধাভোগী এলাকা: প্রায় ৭ লাখ হেক্টর জমি

🌿 পরিবেশগত প্রভাব

  • বন্যা ও নদী ভাঙন: প্রতিবছর হাজার হাজার পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়।
  • জলজ জীববৈচিত্র্য: মাছ ও অন্যান্য প্রাণী হুমকির মুখে পড়ে।
  • বালু উত্তোলন: নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত।

⚖️ ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব

তিস্তা নদী ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পানির সমবণ্টন না হওয়ায় বাংলাদেশে কৃষি ও জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।


📌 সারাংশ (Summary)

তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রাণরেখা। এই নদীকে ঘিরে কৃষি, পরিবেশ, অর্থনীতি এবং রাজনীতি আবর্তিত। পানির ন্যায্য বণ্টন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করলেই এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব।


সুপারিশসমূহ

  1. তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করা।
  2. বাংলাদেশ অংশে খনন ও ড্রেজিং করে পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি।
  3. নদীভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মাণ।
  4. যৌথ নদী কমিশনের কার্যকরী ভূমিকা নিশ্চিত করা।

📚 তথ্যসূত্র

  • বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (BWDB)
  • যৌথ নদী কমিশন (JRC)
  • পরিবেশ অধিদপ্তর
  • দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টার
  • সরকারি ও গবেষণা প্রতিবেদন


বিএনপির জনসমর্থন ১৬ শতাংশ, জামায়াতের ৩১ শতাংশ—কতটা বিশ্বাসযোগ্য

                                বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর লোগো   বিএনপির জনসমর্থন ১৬ শতাংশ, জামায়াতের ৩১ শতাংশ—কতটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে ...